অনলাইন ডেস্ক॥
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের লোগো। গ্রাফিক্স : কালবেলা
বদলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ছিল বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এ নিয়ে সম্প্রতি দৈনিক কালবেলায় ‘বদলি নিয়ে হতাশায় বেসরকারি শিক্ষকরা’ শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা প্রশাসন। বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে দ্বিতীয় কর্মশালা বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় বদলির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সাথে বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
তবে, এনটিআরসিএ’র সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা বদলির জন্য বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক প্রার্থীর বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা কঠিন হওয়ায় কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা বদলির সুযোগ পাবেন না।
কর্মশালা সূত্রে জানা গেছে, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া একজন শিক্ষককে বদলির আবেদন করার ক্ষেত্রে বর্তমান কর্মস্থলে অন্তত দুই বছর ইনডেক্সধারী হিসেবে চাকরি করতে হবে। এরপর তিনি বদলির সুযোগ পাবেন। এর আগে কেউ আবেদন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে।
তবে বদলির কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যতা তৈরি করা যাবে না। পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিপত্র থাকতে হবে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই পদে একাধিক ব্যক্তি বদলির আবেদন করলে এনটিআরসিএ’র মেধাতালিকা অনুযায়ী যে এগিয়ে থাকবে তাকেই বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। বদলি প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমেই অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
বদলির আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কিংবা ম্যানেজিং কমিটির কোনো অনুমতি নিতে হবে না। শিক্ষকরা সরাসরি অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদলির বিষয়টি দেখবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
কর্মশালা সূত্রে জানা গেছে, নারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। বদলির ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকের নিজ জেলার ঠিকানা, নারী শিক্ষকদের স্বামীর কর্মস্থল, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষকদের নিজ জেলার দূরত্বও বদলির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে। এছাড়া বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের ব্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলিতে নীতিগত ঝামেলা রয়েছে। তবুও সরকার চাচ্ছে জীবনে একবার হলেও তারা যাতে বদলির সুযোগ পায়। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের আবেদন কবে শুরু হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আর যেসব বিষয় আলোচনা হয়েছে সেগুলোও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী সভায় মন্ত্রীর (শিক্ষামন্ত্রী) সাথে বসে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
+ There are no comments
Add yours